বৈদেশিক বাণিজ্যে বিনিয়োগে সমস্যা ও সম্ভাবনা পার্ট-৩

সপ্তম অধ্যায়


বৈদেশিক বিনিয়োগের সুবিধাঃ
          কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদের প্রয়োজন পড়ে । কিন্তু কোন দেশই তাদের নিজস্ব সম্পদে স্বনির্ভরা অর্জন করতে পারে না । এজন্য দরকার হয় বিনিয়োগের । নি¤েœ আমাদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো ঃ-


১. কর্ম সংস্থান সৃষ্টিঃ- বাংলাদেশে অধিক জনসংখ্যার দেশ । এখানে তেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ - সুবিধা নেই । বিদেশী বিনিয়োগের ফলে আমাদের দেশে নতুন নতুন কর্মস্থানের সৃষ্টি হবে । এতে করে দেশের বেকারত্ব অনেকাংশে কমে যাবে । 

২. মূলধনের অনুপ্রবেশঃ- বেশির ভাগ উন্নয়নশীল দেশের জনগনের মাথাপিছু আয় কম । ফলে তারা সঞ্চয় করতে পারে না । এত করে তারা বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে পারে না । বৈদেশিক বিনিয়োগের ফলে দেশে মুলধনের পরিমান বৃদ্ধিপায় । এতে করে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় ।

৩. শ্রমের দক্ষতা ও মজুরি বৃদ্ধিঃ-  কোন দেশে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের ফলে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় । এতে করে সে দেশের শ্রমিকদের প্রান্ত্রিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায় । ফলে মুনাফা বৃদ্ধি পায় । মুনাফা বৃদ্ধি পেলে উৎপাদন বাড়ে । উৎপাদন বাড়লে মজুরিও বাড়ে ।

৪. ভোক্তাদের লাভঃ- বিদেশী বিনিয়োগের ফলে দেশের কিছু জিনিষের দাম কমে যায় । এতে করে সে সমস্ত ভোক্তাদের বেশ সুবিধা হয় । এজন্যই বলা হয় দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে ভোক্তার ভোগ বৃদ্ধি পায় ।

৫.লেনদেন ভারসাম্য উন্নতি ঃ- উন্নয়নশীল দেশে লেনদেন ভারসাম্য সব সময় প্রতিকূলে থাকে । এজন্য এসব দেশে যখন বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় তখন তাদের সার্বিক উন্নতি হয় । এর ফলে তাদের লেনদেনের ভারসাম্য অনেক ক্ষেত্রে উন্নতি হয় । 

৬. দেশীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিঃ- বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে অনেক দেশীয় মূলধন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে । মূলধন বৃদ্ধি ফেলে দেশীয় বিনিয়োগের পরিমান বৃদ্ধি পায় ।  এজন্যই বলা হয় বৈদেশিক বিনিয়োগ দেশীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে । 


৭. উন্নত প্রযুক্তির অনুপ্রবেশঃ- বিদেশি বিনিয়োগের ফলে দেশে নতুন নতুন যন্ত্র-পাতির উদ্ভোব হয় । এতে করে বিভিন্ন দিক থেকে উন্নতির সাথে সাথে উন্নত প্রযুক্তির অনুপ্রবেশ ঘটে ।

৮. উন্নত ব্যবস্থাপনাঃ- বৈদেশিক বিনিয়োগ কারীরা তাদের যোগাযোগের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো নির্মান করে থাকে । এত করে দেশের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি ঘটে । 


এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগের ফলে বিভিন্ন পন্যের মান বৃদ্ধি পায়, বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন হয়, জাতীয় আয় বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন ভাবে দেশ উন্নতি সাধন করতে সামর্থ হয় ।

 

  অষ্টম অধ্যায় 

 

বৈদেশিক বিনিয়োগের অসুবিধা সমূহ ঃ
    বৈদেশিক বিনিয়োগের পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধা দেখা যায় । নি¤েœ তার বর্ণনা করা হলো ঃ-

১. অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় হ্রাস:- সাধারণ বৈদেশিক বিনিয়োগ স্বাগতিক দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধি করে এর সঞ্চয় বৃদ্ধি করবে । কিন্তু অনেক সময় এরুপ বিনিয়োগ দেশীয় শিল্পের মুনাফা হ্রাস করে অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় কমায়। এছাড়া বৈদেশিক বিনিয়োগের ফলে ভোক্তাদের পছন্দ অনুযায়ী দ্রব্য উৎপাদন করা সম্ভব হয়। 
  
২. বৈদেশিক মুদ্রার সংকট সৃষ্টি:- শিল্পোন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে বৈদেশিক উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সংকট থাকে বলে বৈদেশিক বিনিয়োগের দ্বারা তা সাময়িকভাবে পূরণ করা হয় । কিন্তু দীর্ঘকালে বৈদেশিক বিনিয়োগের মুনাফা দেশের বাইরে চলে যেতে থাকে বলে বৈদেশিক মুদ্রার অভাব আরো তীব্র হয়ে উঠে। 

৩. বৈদেশিক লেনদেনের উপর বিরুপ প্রভাব:- বিভিন্ন  দেশের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে ঐ সব দেশে বৈদেশিক মুদ্রার অনুপ্রবেশ বিনিয়োগ অপেক্ষা কম। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে এসব দেশে প্রথমবারের বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ পুনবিনিয়োগ করে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ানো হয়েছে। বিনিয়োগ শুরু হওয়ার প্রথম বছর এরুপ পুনবিনিয়োগের পরিমাণ বেশি থাকে। 

৪. রাজনৈতিক প্রভাব:Ñ বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ অনেক সময় উন্নয়শীল দেশের রাজনৈতিক স্বার্থের প্রতিকূলে কাজ করে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিজেদের কায়েমি স্বার্থ সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে অবিরাম চেষ্টা চালায়। 

৫. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা উপর বিরুপ প্রভাব:Ñ অনেক সময় স্বাগতিক দেশের সরকার বিদেশি বৃহৎ বিনিয়োগকারীদের নানা ধরনের চাপে তাদের অনুকূলে আর্থিক ও রাজস্বনীতিসহ অপরাপর নীতি গ্রহণে বাধ্য হয়। এর ফলে অনেক সময় দেশি অর্থনৈতিক নীতি স্বাভাবিক পথে চলতে পারে না। 

৬. দেশীয় শিল্পের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি:- বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে এসে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং বৃহদায়তন উৎপাদনের অংশনেয়। এর ফলে তাদের উৎপাদন ব্যয় যথেষ্ট কম হয় এবং তারা দেশে  ও বিদেশে সস্তায় দ্রব্য বিক্রয় করতে পারে। 

৭. বাণিজ্য শর্তের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া :- সাধারণ বৈদেশিক বিনিয়োগ স্বাগতিক দেশের পণ্য বাণিজ্য শর্তের উন্নয়ন ঘটায়। কিন্তু বিদেশিরা বিনিয়োগ থেকে উদ্ভুত লাভের বৃহৎ অংশ নিজ দেশে পাঠানোর পাশাপাশি যদি বিনিয়োজিত মূলধনের উল্লেখযোগ্য অংশ উঠিয়ে নেয় তবে বিবেচ্য দেশের বাণিজ্য শর্তের অবনতি হবে। 

৮. গোপনীতা :Ñ সাধাণত বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ যে কৌশলগত পদ্ধতি অবল্বন করে স্বাগতিক দেশে উৎপাদন কাজ পরিচালনা করে তা সংশিষ্ট শ্রমিক এবং দেশীয় ব্যবস্থায় কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রকাশ না করে গোপনীয়তার আশ্রয় নিয়ে থাকে। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগ দ্বারা উন্নয়শীল দেশগুলোতে যে হারে শিল্পজ্ঞানের প্রসার ঘটা উচিত। 

৯. উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি:- বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের দ্বারা প্রায় ক্ষেত্রেই মূলধন নিবিড় শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়ে থাকে। ফলে দেশের বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ ধরনের বিনিয়োগ তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। 

আবার অনেক সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার না করে বিদেশি কাঁচামাল ব্যবহার করে থাকে য উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। 

    নবম অধ্যায় 

বাংলাদেশে বৈদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যবস্থাবলি 
১. দুর্নীতি দমন: বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের সকল স্তরে দুর্নীতি দমনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য হলেও এখন পর্যন্ত দুর্নীতি রাহুগ্রাস থেকে আমরা মুক্ত হতে পারি নি । 

২. সরকারি কমৃচারিদের দক্ষতা বৃদ্ধি: বাংলাদেশে আমলঅতন্ত্র এখনো কাক্সিক্ষত অর্নন করতে পারে নি। বিদেশি বিনিয়োগকারীর বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বিভিন্ন রকম হয়রানির স্বীকার হয়। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এদেশে বিনিয়োগ করতে ভয় পায় ।
 
সুতরাং বাংলাদেশের  আমলাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানসিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন একান্ত আবশ্যক যা এদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। 

৩. শ্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি: বাংলাদেশ শ্রমের প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা তথা শ্রমের দক্ষতা অত্যন্ত কম বলে বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহিত হয় না। সুতারাং  উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমের শ্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারতে এদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা উৎপাহী হবে। 

৪. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন :বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এদেশে বিনিয়োগ উৎসাহিত হয় না । রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের অন্যতম পূর্বশর্ত । সুতারাং বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধির স্বার্থে দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে যৌথ প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। 

৫ . আন্তর্জাতিক শিল্প মেলায় অংশগ্রহন: বাংলাদেশ বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিল্পমেলায় শিল্পোদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তোলা যায় যা বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

৬. একক সেবা কেন্দ্র স্থাপন: বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রালয়ে দিনের পর দিন ধন্না দিতে না হয় সেজন্য একক সেবাকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এ সেবাকেন্দ্র থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ সংক্রান্ত সব মন্ত্রালয়ের সেবা ভোগ করতে পারলে তাদের সময় অপচয় রোধ হবে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উৎসাহী হবে । 

৭. বন্দর উন্নয়ন: বাংলাদেশে আমদানি রপ্তানির বাণিজ্যের সিংহভাগ যেহেতু সমুদ্রপথ সংঘটিত হয় সেহেতু দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোর উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। সমুদ্র বন্দর গুলোর উন্নয়ন করলে তা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে আরো গতিশীল করে তুলবে বা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এদেশের  বিনিয়োগ উৎসাহিত করে তুলবে । 

৮. অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়ন: বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবশ্যই অর্থনৈতিক অবকাঠামোর ্উন্নয়ন করতে হবে। বিশেষ করে পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বিদ্যুৎ ব্যবহার উন্নয়ন শক্তি সম্পদের উন্নয়ন জ¦ালানি ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা সম্ভব। 

৯. আইন শৃঙ্খলার উন্য়ন: বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হলে অবশ্যই দেশের অভ্যন্তরীণ আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন ঘটাতে হবে । তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যাতে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি মাস্তানি ইত্যাদি।

 

দশম অধ্যায়

 

বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আমার সুপারিশঃ- 
  বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে নি¤েœাক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে ।

১. বাংলাদেশের বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইনের পরিবর্তন করতে হবে ।
২. বিনিয়োগের জন্য সহজ শর্ত প্রদান করতে হবে ।
৩. বিনিয়োগকারীদের বিশেষ বিশেষ সুবিধা প্রদান করতে হবে ।
৪. বিনিয়োগ কারীদের নিরাপত্তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিতে হবে ।
৫. বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রনোদনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আইন তৈরী করতে হবে ।
৬. বাংলাদেশ থেকে দূনীতিকে চিরতরে বিদায় করে দিতে হবে ।
৭. বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সর্বাত্বক ব্যবস্থা নিতে হবে ।
৮. বাংলাদেশের ইমেজ বর্হিবিশে^ যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে 
৯.  বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অধিক শ্রমের যোগান দিতে হবে । 
১০. দেশের স্বার্থ রক্ষা করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নীতি প্রনয়ন করতে হবে ।


উপসংহারঃ
    বর্তমান মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে প্রতিটি উন্নয়নশীল দেশেই বিনিয়োগের অফুরান্ত সম্ভাবনা থাকে । কিন্তু সে দেশের বিনিয়োগের নীতি গুলো  যদি বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে না পারে তবে বৈদেশিক বাণিজ্যের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে ।

এজন্য বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে হবে । এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।

তবে আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা আগেকার চাইতে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে । অনেক বিদেশিরা আমাদের দেশে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করছে ।

 ফলে আমাদের দেশের সার্বিক উন্নতি ত্বরাণিÍত হচ্ছে । 
সরকারের একটু সামান্য দৃষ্টি পাত আমাদের দেশের বৈদেশিক  বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে । 


                       

                              গ্রন্থপঞ্জি

১.    ড. অনদিকুমার মহাপাত্র  রাষ্ট্রবিজ্ঞান 
২.    ড. এমাজউদ্দিন আহমদ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কথা 
৩.    সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম  আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান
৪.    সৈয়দ মকসুদ আলী    রাষ্ট্রীয় সংগঠনের রূপরেখা
৫.    ড. মোঃ মকসুদুর রহমান  রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মৌলনীতি
৬.    প্রফেসর ইয়াসমিন আহমেদ    বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনীতি
 

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন