পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা-পার্ট-২

      চতুর্থ অধ্যায়


বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সমস্যাঃ
            বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প খাতের অবদান থাকলেও এতে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে ।  উক্ত সমস্যা গুলো নি¤েœ আলোচনা করা হলো ঃ-

প্রাকৃতিক সম্পদের অভাবঃ
      আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ খুবই কম । এজন্য আমরা খুব বেশি পন্য উৎপাদন করতে পারি না । এছাড়া কারিগরী শিক্ষার অভাবে এই অল্প প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না । এর ফলে বাংলাদেশ তেমন কোন পোশাক শিল্প উন্নতি করতে পারে না । 

শ্রমিকের অদক্ষতাঃ
        শ্রমিকের অদক্ষতা পোশাক শিল্প খাতের একটি বড় সমস্যা । নারী ও পুরুষদের কারিগড়ি শিক্ষার অভাবে তারা দক্ষতা অর্জন করতে পারে না । বাংলাদেশে ট্রেনিং এর জন্য উপযুক্ত যন্ত্রপাতি নেই । যার ফলে দক্ষ শ্রমিক গড়ে তোলা সহজে সম্ভব হয় না । 


ব্যাংক ঋণের অপ্রতুলতাঃ 
        বাংলাদেশ ব্যাংক সহ অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহ খুব বেশি ঋণ দিতে পারে না ।  এজন্য বিভিন্ন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ মূলধনের অভাবে পোশাক শিল্প করার  ব্যাংক ঋণ পায় না।

কোটা আরোপঃ
    বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত বিভিন্ন পন্য অন্যান্য দেশে সহজে প্রবেশ করতে পারে না । আমদানী কারক দেশ গুলো কোটা বেধে দেয় । উক্ত কোটার চাইতে বেশি পন্য রপ্তানি করা সম্ভব হয় না । ফলে পোশাক শিল্প সহজে উন্নতি করতে পারছে না ।


প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে টিকতে না পারাঃ
                 প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে টিকতে না পারাও এদেশের পোশাক শিল্প  বিকাশ সাধনে একটি বড় বাধা বলে বিবেচিত করা হয় । উন্নত দেশগুলো তাদের দক্ষতা দিয়ে যে সকল পন্য প্রস্তুত করে আমাদের দেশে উন্নত যন্ত্রপাতির অভাবে  ভালোমানের পোশাক তৈরী করতে সামর্থ হয় না ।  এজন্য দেশ পোশাক শিল্পে পিছিয়ে পড়ছে ।

তৈরী পোশাকে মান নির্ণয়ে সমস্যাঃ
            বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত তৈরী পণ্যের মান নির্ণয়ে সমস্যা দেখা দেয় । আর্ন্তজাতিক মহলে আমাদের পোশাক নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে । অনেক অসাধু ব্যবসায়ী প্রেরিত নমুনার সাথে প্রকৃত মালের গুণাগুনের পার্থক্য ধরা পড়েছে । এতে করে আমাদের পোশাক বিদেশিরা নিতে আগ্রহ কমিয়ে ফেলেছে । 

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাঃ
           বাংলাদেশের  রাজনীতি অনেকাংশে হরতাল,অবরোধ,ধর্মঘট এসবের সাথে সম্পর্ক যুক্ত । এসব কার্যক্রমের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয় । মালামাল পরিবহনে অসুবিধা হয় । জাহাজ মালামাল তুলতে এবং জাহাজ থেকে খালাশ করতে বন্দরে প্রতিকূলতা সৃষ্টি হয় । জাহাজে মালামাল তুলতে না পারলে সময় মত ক্রেতাদের কাছে পোশাক পৌছানো যায় না । 

শ্রমিক মালিক সম্পর্কের অবনতিঃ
            বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে নিয়োজিত অধিকাংশ শ্রমিক নারী । তাদেরকে নায্য মজুরি দেওয়া হয় না বলে ধারনা করা হয়। প্রয়োজনীয় বিশ্রাম, ছুটি, ভাতা,এসব প্রদানেও সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন না থাকার ফলে প্রায় শ্রমিক মালিক সম্পর্কের অবনতি হয় ।  এতে শ্রমিক মালিকদের মাঝে অসন্তোষ কাজ করে । ফলে সৃষ্টি হয় বিরোধ । 

নিরাপত্তাহীনতাঃ
            বাংলাদেশের অধিকাংশ পোশাক তৈরীর কারখানা ঢাকা নগরের বিভিন্ন শহরে এমনকি আবাসিক এলাকাতেও গড়ে ওঠেছে । এর ফলে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে । অগ্নিকান্ডে প্রায়ই কারখানা ও শ্রমিকদের ক্ষতি হয় । এছাড়া শ্রমিকদের ক্ষতিপূণের তেমন ব্যবস্থা করা হয় না ।  রানা প্লাজা ধ্বংশের ন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি গোটা মানবজাতির বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে । 

বিদেশী মূলধনের উপর নির্ভরশীলতাঃ 
       বাংলাদেশের নব্য কিছু পুঁজিপতির সাথে বিদেশি পুঁজিপতিও পোশাক শিল্প এর সাথে জড়িত আছে । বিদেশি পুঁজিপতিরা নানা ভাবে উৎপাদনকে প্রভাবিত করে । তা অনেক দেশের স্বার্থের পরিপন্থি হয় । তাই পোশাক শিল্প অর্থনীতিতে বিদেশী মূলধনের উপর নির্ভরশীলতা আমাদের অনেকাংশে পঙ্গু করে রাখছে ।

দুর্নীতিঃ 
পোশাক শিল্পে জড়িত কোন কোন কারখানা বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করেছে । তারা উন্নত কাঁচামালের পরিবর্তে ভেজাল কাঁচামাল জোগান দিয়ে পোশাক প্রস্তুত করে । পছন্দের পোশাক তৈরীর জন্য যে ধরণের বস্ত্র বিদেশি কোম্পানীর মাধ্যমে দেশে হয়, তার অধিকাংশ বেশি লাভের আশায় কালো বাজারে বিক্রি হয় । ভালো বস্ত্রের পরিবর্তে নি¤œ মানের বস্ত্র দিয়ে প্রস্তুতকৃত পোশাক উক্ত বিদেশি কোম্পানীর কাছে ডেলিভারী দেওয়া হলে সেই কোম্পানী পরবর্তী অর্ডার দেওয়া বন্ধ করে দেয় ।

বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের সমস্যা সমাধানের উপায় ঃ                                     
       পোশাক শিল্প জাতীয় অর্থনীতির বৃহৎ অংশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে এ শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা দূর করতে হবে। নিম্নে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলো তুলে ধরা হলো-
 বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্কের হার নমনীয় করার ব্যাপারে সরকারি- বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
 প্রয়োজনীয় কাঁচামালের ব্যবস্থা ও এর মানের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
 শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা ও কর্মপরিবেশের সুষ্ঠু নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে বাতিলকৃত জিএসপি সুবিধাসহ অন্যান্য সুুবিধা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
দ্রুত পণ্য পরিবহনের জন্য সড়কপথ, রেলপথ প্রভৃতি উন্নয়ন করতে হবে।
 রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। হরতাল, অবরোধসহ অর্থনৈতিক অগ্রগতিবিরোধী সকল কর্মকান্ড পরিত্যাগ করতে হবে।
শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পোশাক শিল্পকে সর্বাধুনিক করার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে হবে।
 পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
 গার্মেন্টস শ্রমিকদের থাকার জন্য গার্মেন্টস পল্লী নির্মাণ করতে হবে।

এছাড়া নি¤েœাক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে

বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিতকরণঃ
              নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ  নিশ্চিতকরতে না পারলে উৎপাদন ব্যাহত হবে । এজন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে । এর দ্বারা বাংলাদেশের উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব ।

পরিবহন ও বন্দর সুবিধা নিশ্চিত করণঃ
            পোশাক শিল্পে কাঁচামাল ও উপকরন আনয়ন ও প্রস্তুতকৃত পোশাক বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করা যায় তার উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে । উপযুক্ত রাস্তাঘাট যেমন থাকতে হবে তেমনি জাহাজের কাঁচামাল তোলা ও খালাসের আধুনিক ব্যবস্থা করতে হবে । 

কারখানায় নিরাপত্তামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করনঃ
              তৈরী পোশাক শিল্পে নানা দুর্ঘটনা ঘটে । রানা প্লাজা ধ্বংসের ন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না ।  এর পূনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এজন্য  সরকারী বেসরকারী ও বিদেশী কোম্পানী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা নানা সুপারিশ নিয়ে এসেছে । এ বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন । অগ্নিকান্ড থেকে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিধান করতে হবে ।


দালাল ও এজেন্টদের আইন ভিত্তিক নিয়ন্ত্রন ঃ
           পোশাক রপ্তানীতে বিভিন্ন এজেন্ট নানা জটিলতা সৃষ্টি করে । তাদেরকে  আইন মাফিক নিয়ন্ত্রন করতে হবে । তাহলে বিভিন্ন জটিলতা সহজে নিরসন করা সম্ভব হবে । 

বিদেশী চক্রান্ত থেকে পোশাক শিল্পকে সুরক্ষা করাঃ
     বাংলাদেশে তৈরী পোশাক শিল্প অন্যান্য দেশের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ।  তাই প্রতিযোগী দেশগুলো বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে নানা ভাবে ক্ষতি করতে পারে । এই জন্য বিদেশী চক্রান্ত থেকে পোশাক শিল্পকে সুরক্ষা করতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে ।

রপ্তানির মেলার আয়োজনঃ
          বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ব্যবস্থা করতে হবে ।  বিভিন্ন রপ্তানী মেলা বা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের প্রস্তুতকৃত পন্যের মান ও বৈচিত্র্য তুলে ধরতে হবে । 

শুল্ক,কোটা সংক্রান্ত সঠিক নীতি গ্রহণঃ
             বাংলাদেশে তৈরী পোশাক যাতে সহজে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা যায়, এজন্য দেশের রপ্তানি শুল্ক হ্রাস করতে হবে । আমদানি কারী দেশগুলোর কাছ থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা আদায় করতে হবে । এজন্য শুল্ক ও কোটা সংক্রান্ত সঠিক নীতি গ্রহণ করতে হবে ।


 প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে সমান তালে এগিয়ে যাওয়াঃ
                 পোশাক শিল্পে চীন, ভারত, হংকং, তাইওয়ান দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে । নির্দিষ্ট সময়সীমার পর যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশকে প্রদত্ত কোটা সুবিধা তুলে নেওয়ার পর সে দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশকে কঠিন উন্মুক্ত প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হতে  হবে ।  কাজেই প্রস্তুতকৃত পোশাকের মান উন্নত করে এবং নি¤œ ব্যয়ে উৎপাদন করে কম মূল্যে তা আন্তর্জাতিক বাজারে ছাড়তে হবে । 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগঃ
         আধুনিক পোশাক শিল্পে প্রযুক্তির উপযুক্ত প্রয়োগ প্রয়োজন । উন্নত শিল্পের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিকে দ্রুত রপ্ত করে এবং আধুনিক সাজ-সরাঞ্জাম ব্যবহার করে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পকে গতিশীল করে তুলতে হবে ।

শিল্পঋণ প্রদানের প্রসারতাঃ
        তৈরী পোশাক শিল্পে পর্যাপ্ত ঋণ প্রদানের সুবিধা থাকতে হবে । এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক  সহ বাংলাদেশের যাবতীয় ব্যাংক, বীমার ভূমিকা রাখতে হবে ।


 
                     পঞ্চম অধ্যায়

বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাঃ
            বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ন্থান অধিকার করিয়াছে । তৈরী পোশাক শিল্প কোন কোন যুক্তিতে সম্ভাবনাময় তা নি¤েœ উল্লেখ করা হলঃ

শ্রমের সহজলভ্যতাঃ
     বাংলাদেশ অধিক জনসংখ্যার দেশ । শ্রমের সহজলভ্যতা, স্বল্প মজুরিতে শ্রমিক নিয়োগ সম্ভব বলে তৈরী পোশাকের গড় ব্যয় কম হয়। দেশের জনসংখ্যাকে উপযুক্তভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ বাংলাদেশী পোশাক শিল্পের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিয়েছে । 

নারী শ্রমের মর্যাদাঃ
      বাংলাদেশের পোশাক তৈরী শিল্পে নারী শ্রমিকদের দক্ষতা প্রমাণিত হয়েছে । নারী শ্রমিকদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করছে । ফলে পরিবার ও সমাজের মাঝে তাদের শ্রমের মর্যাদা বৃদ্ধি পায় । 

তরুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিঃ 
     পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের সক্ষমতা তৈরী করেছে এদেশের তরুন উদ্যোক্তারা । ১৯৮০’র দশকে নূন্যতম সংখ্যক উদ্যোক্তা থেকে আজ ১০-১৫ হাজার এর কোঠায় । এ সাহসী উদ্যোক্তাদের বেশির ভাগই কোন না কোন চাকুরিতে নিয়োজিত ছিলেন । তরুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি এই শিল্পই দেখিয়েছে । আজ তারা সন্মানিত ও প্রতিযো  উদ্যোক্তা  । দেশিয় ও আর্ন্তজাতিক ভাবে আজ তারা প্রতিষ্ঠিত । তরুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবার ফলে আমাদের পোশাক শিল্প বিশে^র দরবারে প্রথম সারিতে স্থান করে নিয়েছে । 
জিডিপি বৃদ্ধিঃ      বর্তমানে এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে আর্ন্তজাতিক বাজারে পোশাক শিল্প দেশের জিডিপির ১৩ শতাংশ এবং মোট রপ্তানির ৭৫% অবদান রাখছে । পোশাক শিল্প আগামী ৫ বছরে সরবরাহকারী দেশ হিসাবে তুলনামূলক পছন্দের তালিকায় 

বাংলাদেশর রেটিং ৮৯
ভিয়েতনামের রেটিং ৬২
ইন্দোনেশিয়ার রেটিং  ৪১
এবং কম্বোডিয়ার রেটিং  ৩৭
যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে সকল ব্রান্ড ক্রেতারা আমাদের পন্য ব্যবহার করেন তাদের ক্রয় ক্ষমতা বর্তমানে ১৩-২৫% বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ।

রেটিং বৃদ্ধিঃ
   তাজরীন, স্টান্ডার্ড গার্মেন্টস এবং রানা প্লাজার মর্মান্তিক ঘটনা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার পরও সরবরাহকারীদেশ হিসাবে অগ্রাধিকারভুক্ত দেশ হিসাবে বাংলাদেশ প্রথমেই আছে ।

বাংলাদেশের রেটিং  ৫২ পয়েন্ট
ভিয়েতনামের রেটিং  ৪৮ পয়েন্ট
ভারতের রেটিং       ৩১ পয়েন্ট
বার্মার রেটিং          ৩১ পয়েন্ট
কম্বেডিয়ার রেটিং     ২৮ পয়েন্ট
চীনের  রেটিং          ১৭ পয়েন্ট
ইন্দোনেশিয়ার রেটিং  ১৪ পয়েন্ট
পাকিন্তানের রেটিং      ১৪ পয়েন্ট               

             ষষ্ঠ অধ্যায়


উপসংহারঃ
     বাংলাদেশের ন্যায় উন্নয়নশীল দেশে পোশাক শিল্প রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে । পোশাক শিল্প রপ্তানির মাধ্যমে  যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে তা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে গ্রহণযোগ্য । অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পোশাক শিল্প খাতে সরকারকে সর্বদা নজরদারী করা ও পোশাক শিল্প কাঠামো অত্যন্ত সমৃদ্ধিময় দীর্ঘস্থায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে ।
পোশাক শিল্পে কিছু সমস্যা থাকলেও এর ভবিষ্য উন্নয়নের সম্ভাবনা যথেষ্ট আছে । তাই রপ্তানি আয়ে পোশাক শিল্পের অবদান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । সরকারের উদার শিল্পনীতি ও শ্রমিক মালিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি সর্বোপরি কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে পারলে পোশাক শিল্প অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখতে পারবে বলা যায় ।
      

                        গ্রন্থপঞ্জি


১. দিলিপ কুমার বল                               ঃ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অধ্যায় ।
২. মনোরঞ্জন দে                                   ঃ   বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অধ্যায় ।
৩. মনতোষ চক্রবর্তী                              ঃ  আর্ন্তজাতিক অর্থনীতি   ।
৪. জহুরুল ইসলাম শিকদার                    ঃ  শিল্প অর্থনীতি 
৫.  মনতোষ চক্রবর্তী                              ঃ উন্নয়ন অর্থনীতি

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন