ভাইভা ও জব পাবার গোপন তথ্য

 ভাইভা সমাচারঃআপনি ভাইভা ও  জব  প্রস্তুতি  নিয়ে চিন্তিত ? জেনে   নিন তার সমাধান । সাফল্য এইবার আসবেই 


আপনাদের মধ্যে যারা চাকরি খুজছেন তাদের উদ্দেশ্য কিছু বিষয় বলতে চাই। নিয়ম অনুসারে  আপনি ভাইবা পরীক্ষায়  এক্সামিনারদের নজরে থাকার জন্য যে কাজ গুলো করতে হয় সেগুলো করতে পারলে আপনি হতে পারেন  সিলেক্টেড  ।


১.জব সার্কুলার যেদিন হয় ঠিক সেই দিন আবেদন করুন।কারন একটা সার্কুলারের বিপরীতে মিনিমাম ৫০০ আবেদন করে।
২.অনলাইন আবেদনের পাশাপাশি সুযোগ থাকলে অফিসে গিয়ে এক কপি সিভি জমা দিয়ে আসুন।
৩.আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ফোন কল এর পর এস.এম.এস পাঠালে আপনি well received লিখে ফিটব্যাগ দিবেন।এসব কার্টেসি খুব কাজে দেয়। ইন্টারভিউ এর দিন দেখবেন এই ছোট কাজটির জন্য আপনাকে বেশি মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

                                                                       জব
৪.ইন্টারভিউ এ ফোন কল পাওয়ার ক্ষেত্রে লোকেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইন্টারভিউ এর জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনি ফোন কল পাবেন না।
৫.ইন্টারভিউ এর দিন কলম এবং সাথে পানি নিয়ে যাবেন।ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে আপনি সাথে সাথে মানব সম্পদ কর্মকর্তার কাছে পানি খাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারেন না।কারন সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত এবং পিয়ন নাও থাকতে পারে।

    
৬.আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ইচ্ছে থাকলেও সঠিক সময় ভাইভা শুরু করা সম্ভব হয় না।অাধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা দেরি হয়ে যায় বিভিন্ন কারনে।বাংলাদেশের টপ গ্রুপ অফ কোম্পানিতে ভাইভা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল, সেখানেও একই অবস্থা। সুতরাং টেক ইট ইজি।
৭.ভাইভা দিতে গিয়ে দেরিতে ভাইবা শুরু হওয়ার খারাপ এক্সপেরেশন দিবেন না।বা কোম্পানি সম্পর্কে অন্য ক্যান্ডিডেট এর কাছে দূর্নাম করবেন না।কারন দিন শেষে চাকরি আপনার প্রয়োজন। যাদের প্রয়োজন নেই বা নিজেকে যাচাই করতে এসেছে তাদের সাথে আপনার হিসাব মিলবে না।

আরও পড়ুন  ইন্টারভিউ কল পাচ্ছেন না ?


৮.ভাইভা বোর্ডে সব জান্তা শমিপেষু বলে নিজের জাহির করার দরকার নাই।
৯.ভাইভার সময় - হতে পারে,চেষ্টা করবো,মনে হয়,সুযোগ দেন,এসব গরিব ভাষা ব্যবহার করবেন না।
১০.সিভিতে যা লিখেছেন তা যেন সঠিক হয় এবং সিভি থেকে কিছু জিজ্ঞেস করলে তা যেন বলতে পারেন সেটা নিশ্চিত করবেন।না বলতে পারলে লিখার দরকার নাই।ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে এমন যেন না হয়।Water water everywhere not a drop to drink.


১১.কোম্পানি সম্পর্কে জেনে যাবেন।কোম্পানির কোন একটা নিদিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলবেন।এমন কোন কথা বলবেন যাতে করে আপনার সম্পর্কে পজিটিভ মাইন্ডসেট তৈরি হয়।
১২.সুযোগ থাকলে ভালো এবং প্রজেনটেবল লাগে এমন আউটফিট পরে যাবেন।দিন শেষে সবাই চায় তার অফিসে একজন স্মাট মানুষ যোগদান করুক।
১৩.ভাইভা দিয়ে চলে যাবার পর - পরের দিন অফিস শুরু হওয়ার আগে সেই অফিসে একটা টেক্স করুন। আপনার কেমন লেগেছে ইন্টারভিউ দিয়ে, কি কি শিখলেন, ইত্যাদি ইত্যাদি।এই কার্টেসি খুব কাজে দেয়।

                                                                                                           
১৪.ভাইভা বোর্ডে একজন ক্যান্ডিডেট কমন কিছু মিস্টেক করে,                                                                                                                                                                                                                                                                                           সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ

যেমনঃ
*রুমে ঠোকার সময় পকেটে হাত দিয়ে থাকে
*সালাম বা গ্রেটিংস দেয় না
*একটু বয়স বেশি হলে না বলেই বসে পড়ে।
*চেয়ার টেনে শব্দ সৃষ্টি করা।
*চেয়ারে বসেই হাত টেবিলে রাখা
*কথা বলার সময়ে জড়তা 

                                                    
১৫.Last but not the least আমার Approach যদি আপনার ভালো না লাগে আপনি আমার কোম্পানিতে জব করবেন না ঠিক একইভাবে আপনার Approach যদি আমার ভালো না লাগে তাহলে আমিও আপনাকে নিয়োগ দিব না।দিন শেষে কোনটা করা যাবে কোনটা যাবে না এটা আপনাকে বুঝতে হবে।

আশা করছি উপরে যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছি সেগুলো একটু হলেও আপনাদের সাহায্য করবে।   (সংগৃহীত)

Test User
Test User

মন্তব্য সময় - 1 year ago

কথা গুলো দারুন উপকারী *রুমে ঠোকার সময় পকেটে হাত দিয়ে থাকে *সালাম বা গ্রেটিংস দেয় না *একটু বয়স বেশি হলে না বলেই বসে পড়ে। *চেয়ার টেনে শব্দ সৃষ্টি করা। *চেয়ারে বসেই হাত টেবিলে রাখা *কথা বলার সময়ে জড়তা

উত্তর :

ধন্যবাদ আপনাকে

1

0

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন